মানসিক রোগ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
আমি কিছুদিন আগে অফিসিয়ালভাবে একটি প্রশিক্ষণ নিয়েছি মানসিক রোগের উপর। সেখান থেকে কিছু অভিজ্ঞতা আমি আপনাদের জন্য লিখছি।
আমাদের বতর্মান সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো মানসিক রোগ। এই আমরাও যখন কিছুদিন আগে (১০/১৫ বছর পূর্বে) ছোট ছিলাম তখন সাধারণ মানুষ মানসিক রোগকে তেমন একটা আমলে নিত না। এর মূলে ছিল অনেক অদ্ভূত ধারণা, অন্ধ কুসংস্কার। আজকের এই দিনে এসব কুসংস্কার ও অদ্ভূত ধারণা অচল এবং অবৈজ্ঞানিক। কিন্তু সেদিন এবং এখনো সমাজের কোনো কোনো স্তরে মানুষের মনের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা বাসা বেঁধে বসে আছে।
আমাদের অনেকের ধারণা, মানসিক রোগ নাকি দূষিত হাওয়া-বাতাস, দৈত্য-দানব বা জিন-ভূতের আসরে ঘটে। এ ধরনের ভ্রান্ত ও বিচিত্র বিশ্বাস মনের মধ্যে যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে শেকড় গেড়ে বসে থাকলে মানসিক রোগীর আত্মীয়-স্বজন ও পরিবার-পরিজন রোগের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন সব সময় হন না।
কারন তারা ধরনা দেন ফকির-ওঁঝা ও সন্ন্যাসীদের কাছে। ফলে রোগীর ওপর প্রয়োগ হয়-তন্ত্রমন্ত্ তুকতাক, তাবিজ, মাদুলি, পানি পড়া, ঝাড়ফুঁক, ইত্যাদি প্রক্রিয়া, এসব বিভিন্ন ভৌতিক প্রক্রিয়া এবং তাবিজকবচ, বালা, মাদুলি, কায়তুন পরা ইত্যাদি ধারণ করে মানসিক রোগের প্রতিকার করার বৃথা চেষ্টা করা হয়ে থাকে।
এগুলো শুধু ঔদাসীন্য ও বিভ্রান্ত নয়, মানসিক রোগীর প্রতি একপ্রকার অন্যায়ও। মানসিক রোগের চিকিৎসায় আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। যার ফলে অন্যান্য রোগ সারানোর মতোই ওষুধ ও সাইকোথেরাপি এবং অন্যান্য থেরাপি দিয়ে মানসিক রোগ সারানো সম্ভব হচ্ছে।
তাই মানসিক রোগকে আমাদের কারোরই অবহেলা করা উচিত নয়। যার পরিবারে মানষিক রোগ আছে সেই বোঝে এর কষ্ট।
নিচে একটি মানসিক রোগের ছবি যা এটি মস্তিস্ককে এমন ভাবে আক্রান্ত করে যে মানুষের বোধ শক্তি আজিব ধরনের আচরণ করে । রোগী নিজের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অদ্ভুৎ আকৃতিতে দেখতে পায় । এ রোগের নাম: Todd’s syndrom
প্রতিক্ষণ/এডি/সাইমুম
=====