মিয়ানমারে ঐতিহাসিক ভোট গ্রহণ শুরু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আজ পুরো বিশ্বের চোখ মিয়ানমারের দিকে। গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রোববার সকাল থেকে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে ভোট কেন্দ্রগুলোতে।
৫০ বছর সামরিক শাসনে থাকার পর সর্বশেষ ২০১১ সালে মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে বেসামরিক সরকার গঠন করা হলেও পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে সেনাবাহিনী। তাই এটাকে আধা সামরিক সরকারই বলা চলে। আন্তর্জাতিক মহলের অব্যাহত চাপের কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন ক্ষমতা গ্রহণের পর মিয়ানমারে পুরোপুরি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন।
রোববার সকাল ৬ টা থেকে মিয়ানামারের সবগুলো প্রদেশে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়েরও দেড়-দুই ঘন্টা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে এসে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরিওয়াদ্দা তাদের অনলাইন সংস্করণে জানিয়েছে, ভোর সাড়ে ৫ টার মধ্যে রেঙ্গুনের গোল্ডেন ভ্যালির একটি ভোটকেন্দ্রে ৫০ জনের মতো ভোটারকে কেন্দ্রে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটির মান্দালে’র মহা অং মেই নামের আরেকটি ভোটকেন্দ্রে ভোর ৫ টায় শতাধিক লোককে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কেন্দ্রে অপেক্ষমান ৫০ বছরের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘ আমি এখানে এসেছি, কারণ আমি একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হতে চাই।’
রাজধানী নাইপিদুর বাসিন্দা থুরা উইন জানান, তিনি কেন্দ্রে তাড়াতাড়ি এসেছেন এই কারণে যে, রোববার মিয়ানমারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।
কোকো নামে নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ সকাল ৬টায় সবগুলো ভোটকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে।’
গত ২৫ বছরের মধ্যে রোববার প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে তিন কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ৪৯৮ আসনের বিপরীতে ৬ হাজার ৫ জন প্রার্থী এবং ৯১টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে