মৃত নারীর জবানবন্দি দাখিল করলেন ওসি !

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৫ সময়ঃ ৭:১৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:১৬ অপরাহ্ণ

জেলা প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম

dinajpurযৌন হয়রানির মামলার সাক্ষী হিসেবে আদালতে মৃত এক নারীর জবানবন্দি জমা দিয়েছেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন মোস্তফা ! প্রায় ১২ বছর আগে মারা যাওয়া ওই নারীর জবানবন্দি দাখিলের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, চিরিরবন্দর উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেনের বিরুদ্ধে একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। গত ১২ মে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে করা অভিযোগটি তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হলে দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রহিমা খাতুনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

এর জেরে ১৭ মে রহিমার স্বামী আবদুল আলিম ও বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক স্থানীয় শেফালী বাজারে প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেনকে মারধর করেন। এ ঘটনায় আলতাব বড় ভাই আফতাব উদ্দিন বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি মামলা করেন।

এরপর গত ২৭ নভেম্বর রহিমা খাতুন আফতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে দিনাজপুর আদালতে একটি মামলা করেন। নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা ওই মামলায় বৈকুণ্ঠপুরের আব্দুস সাত্তারের মৃত স্ত্রী সাহেদা খাতুনকে সাক্ষী করা হয়।

এ মামলায় গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ওসি রওশন মোস্তফা। এতে সাহেদা খাতুনের জবানবন্দি রেকর্ড হিসেবে দেখানো হয়। অথচ সাহেদা খাতুন মারা গেছেন প্রায় ১২ বছর আগে! সম্প্রতি বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য রাম বাবু রায় ও ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল আলিম বলেন, ‘সাহেদা মারা গেছেন প্রায় ১২ বছর আগে। শুনেছি তার নামে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে ওসি রওশন মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার রুহুল আমিন জানান, আদালতে হওয়া মামলা থানায় রেকর্ড হয় না। এ ধরনের মামলায় আদালত নিযুক্ত তদন্তকারী তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। তাই মৃত ব্যক্তির জবানবন্দি দাখিলের বিষয়টির সঙ্গে পুলিশ বিভাগের কোনো যোগসূত্র নেই।

প্রতিক্ষণ /এডি/ জহরুল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G