মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে শীর্ষে পাকিস্তান, ২য় বাংলাদেশ
গত বছর এশিয়ার এগার দেশে অন্তত ১৩০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
তবে এর অধিকাংশের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে পাকিস্তানে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে শীর্ষ রয়েছে পাকিস্তান; দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। পৃথিবীর অনেক দেশেই মৃত্যুদণ্ড রহিত হলেও এশিয়ার দেশগুলোতে এখনও মৃত্যুদণ্ড চালু আছে।
গত বছর বাংলাদেশে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এর মধ্যে দু’জনকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলেও বাকি আটজনকে খুনের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।
তবে এশিয়া অঞ্চলে ২০১৫ সালে ৩৬৭ জনের মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হলেও গত বছরে তা কমে হয়েছে ২৩৯ জনে।
২০১৫ সালে শুধু পাকিস্তানে ৩২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও পরের বছর ৮৭ জনকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। এরপরও এশিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান।
তবে গোপনীয়তার নীতি থেকে সরে আসায় মালয়েশিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশটিতে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে যথাক্রমে ৬ ও ১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও গত বছর ৯ জনকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।
আফগানিস্তানে গত বছর ৬ শতাধিক মানুষের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হলেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কার্যকর করা হয় ৮ জনের। ২০১৬ সালে ইন্দোনেশিয়ায় তিন বিদেশিসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
একই বছরে সিঙ্গাপুরে খুন ও মাদক চোরাচালানের অভিযোগে দুই মালয়েশীয়, এক নাইজেরীয় ও দেশটির এক নাগরিকসহ ৪ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
এছাড়া গত বছর জাপানে দুই পুরুষ ও এক নারীকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। দেশটির আইনজীবীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বার এসোসিয়েশন ২০২০ সালের মধ্যে জাপানে মৃত্যুদণ্ড বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে। গত বছর তাইওয়ানে রায় প্রকাশের তিন সপ্তাহের মধ্যে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই