মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবনের আদেশ
পেটে বাতাস ঢুকিয়ে খুলনার শিশু রাকিব (১২) হত্যার আলোচিত মামলার প্রধান আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে দুই আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে প্রত্যেকের আরও দুই বছর করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। জরিমানার এই অর্থ রাকিবের পরিবারকে দিতে হবে।
মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাকিব হত্যা মামলার রায়ের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। সাধাণত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের পূর্বে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। ডেথ রেফারেন্সের পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। গত ১০ জানুয়ারি পেপারবুক থেকে পড়া শুরু হয়।
এর আগে একই বছরের ৮ নভেম্বর শিশু রাকিব হত্যার দায়ে প্রধান আসামি মো. শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক দিলরুবা সুলতানা ওই রায় ঘোষণা করেছিলেন। সে সময় মামলার অপর আসামি শরীফের মা বিউটি বেগমকে খালাস দেন আদালত।
২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বিকেলে খুলনার টুটপাড়ায় শরীফ মোটরস নামে এক মোটরসাইকেল গ্যারেজে পেটে বাতাস ঢুকিয়ে পৈশাচিক নির্যাতন করে রাকিবকে হত্যা করা হয়। পরদিন রাকিবের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে শরীফ, তার সহযোগী মিন্টু খান এবং শরীফের মা বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ