মৃত্যুর পরের অভিজ্ঞতা বিনিময়!
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:
মৃত্যুর পরেও জীবন রয়েছে? মৃত্যুর পরে কি আত্মার কোনও অস্তিত্ব থাকে? এই রকম বিভিন্ন প্রশ্নে প্রায়ই আমরা তর্ক করি। কখনও কখনও অকাট্য যুক্তি দিয়ে আত্মার অস্তিত্বকে বিশ্বাস করার চেষ্টা করি আবার কখনও বিজ্ঞানের কাছে সব বিশ্বাস ফিকে হয়ে যায়। তবে প্রত্যক্ষ প্রমাণ না থাকায় বইয়ের পাতায় স্থান পায় না আত্মার অস্তিত্ব।
তেমনি হয়ত ডাক্তার ইবেন আলেকজান্ডারের মৃত্যুর অভিজ্ঞতা (NDE- Near Death Experience) সমাদর পায়নি বিজ্ঞানজগতে। কিন্তু তার দাবি, তিনি মৃত্যুকে উপলব্ধি করছেন। মৃত্যুর পরে উপলদ্ধি করছেন আত্মাকে। সর্বোপরি এই বস্তুময় জগতের বাইরে আরও একটি জগত রয়েছে, যেখানে প্রেম ও শান্তি বিরাজমান, উপলব্ধি করছেন তিনি।
ডাক্তার ইভেন আলেকজান্ডার, পেশায় নিউরোসার্জন, তার প্রকাশিত ‘প্রুফ অফ হেভন’ (Proof of Heaven: A Neurosurgeon’s Journey into the Afterlife) বইয়ে দাবি করেন, ২০০৮ সালে ব্যাকটেরিয়ার আক্রান্তে মেনিনজাইটিস রোগে তিনি কোমায় চলে যান। সাত দিন কোমা স্টেজে ছিলেন। সেই সময় তিনি এক ‘অদ্ভুত’ যাত্রাপথে মৃত্যুকে উপলব্ধি করেন। সেখানে ভালোবাসাই শেষ কথা। অশুভর ছায়া মাত্র নেই।
তার মনে হয়েছে, যদি ব্রম্ভান্ডকে জানতে হয় তাহলে ভালোবাসাকে জানতে হবে। মৃত্যুর পর একমাত্র যোগাযোগের রাস্তা টেলিপ্যাথির মাধ্যমে। কোনও শব্দের প্রয়োজন হয়না সেখানে। নিজের মনে যা প্রশ্ন করবে, তার উত্তর আপনাআপনি পেয়ে যাবে। ২০১২ সালে ইভেন আলেকজান্ডারের প্রুফ অফ হেভন আত্মজীবনী প্রকাশ হওয়ার পর বিজ্ঞান জগতে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আলেকজান্ডারের কেরিয়ার ও তার লেখা বই গবেষণা করে এসকোয়ার ম্যাগাজিন এক রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেই ম্যাগাজিন দাবি করে, তার বই প্রকাশ হওয়ার আগে তাকে হাসপাতাল থেকে বিতারিত করা হয় মেডিক্যাল বিভ্রান্তির কারণে।
তাছাড়া, আলেকজান্ডার সেই সময় সম্পূর্ণ কোমায় যাননি। তার ব্রেন সম্পূর্ণ সজাগ ছিল বলে দাবি করে এসকোয়ার ম্যাগাজিন। তবে ইভেন আলেকজান্ডার এইসব তথ্য খারিজ করে জানান, “কোমায় যাওয়ার পর সাতদিনের আমার অভিজ্ঞতা পরখে পরখে সত্যি। আমার বইয়ে লেখা প্রত্যেকটি শব্দ সত্যি।”
প্রতিক্ষন/এডি/পাভেল