মেঘনা, তেতুঁলিয়ায় নদীর বালু উত্তোলন; হুমকিতে ভোলা
কামরুজ্জমান শাহীন,ভোলা প্রতিনিধি:
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন চলছে। আর অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভোলা শহররক্ষা প্রকল্প মেঘনা ও তেতুঁলিয়া পাড়ের জনবসতি। ভাঙন থেকে লোকালয় রক্ষায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি ভোলাবাসীর। আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর মাধ্যমে বালুচোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান তারা।
মেঘনার হাট পয়েন্টখ্যাত ইলিশা ফেরিঘাট থেকে মাত্র ২শ মিটার দূরে গত একমাস ধরে দিনরাত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ স্থানীয় প্রশাসনের সামনে অবৈধভাবে তোলা এসব বালু দিয়েই চলছে তীর সংরক্ষণের কাজ। এভাবেই মেঘনার প্রায় ৯০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ীরা পরিবহন খরচ কমানোর জন্য অপরিকল্পিতভাবে নদীর তীর থেকেই বালু উত্তোলন করছে। এতে বর্ষা মৌসুমে ভাঙন যেমন বেড়ে যায়, আর হুমকির মুখে পড়েছে ভাঙন রোধে করা তীর সংরক্ষণ কাজ।
এলাকাবাসীরা জানান, এভাবে বালু কাটলে আমাদের নদী ভেঙে যাবে। আজ এক মাসের মতো হচ্ছে। ওরা এখনও বালু কাটছে। প্রশাসন কোন ভূমিকা নিচ্ছে না।
বালু উত্তোলনকারীকে জিজ্ঞেস করলে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যে পুকুর নালা ভরাট করে ব্লক করে রাখে আমরা ঐ জায়গায় বালু দেয়।
আর নদী ভাঙন থেকে ভোলাকে রক্ষার স্বার্থে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এক উন্নয়নকর্মী। তিনি বলেন, কোনোভাবেই অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন করা উচিত না। তবে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে জানিয়ে জেলার এ শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, বালু উত্তোলন বন্ধে পুলিশ-কোস্টগার্ডকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক প্রতিক্ষণকে বলেন, আমরা কোষ্ট গার্ডকে এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি। এভাবে পরিবেশের ক্ষতি করে বালু উত্তোলন করতে দেবো না।
উল্লেখ্য, পরিবেশ রক্ষায় হাইকোর্ট ২০১৫ সালে মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় গত ৩ মাসে ৪টি ড্রেজার আটক ও ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তারপরও থেমে নেই অবৈধ ব্যবসায়ীদের নদীর তীর থেকে বালু উত্তোলন।
প্রতিক্ষণ/এডি/তনু