মৎস্যমন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে বি-বাড়িয়ায় হরতাল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের আগমন ঠেকাতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে।
হরতাল চলাকালে সহিংসতা এড়াতে টহল দিচ্ছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
এদিকে, মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর, আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) রেজাউনুর রহমান বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সব এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আজ সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নবনির্মিত পশুসম্পদ কার্যালয় (ইউএলডিসি) ভবন উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের।
মন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে। অন্তত ২০ হাজার মানুষ মন্ত্রীর আগমন ঠেকাতে রাজপথে অবস্থান নেবে বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানিয়েছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রীর অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দেন। এদিকে, সরকারি অনুষ্ঠান যেকোনো মূল্যে করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মন্ত্রীর সমর্থকরা।
মন্ত্রীর সফরের দুদিন আগে গত শুক্রবার বিজয়নগরে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাঁরা কর্মকর্তার মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে যায়। অফিসকক্ষ তছনছ করে। পরে অফিস থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের নামফলক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। শুক্রবারের ঘটনার পর থেকে গোটা এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
ভাঙচুরের ঘটনায় ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিজয়নগর থানায় মামলা করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা লুৎফর রহমান। বিজয়নগরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। এতে র্যাব-পুলিশ-বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ