যত সব অদ্ভুত পেশা

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭ সময়ঃ ৫:২৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:৫৬ অপরাহ্ণ

nintchdbpict000263461272পৃথিবীতে এমন অদ্ভূত কিছু পেশা আছে, যেগুলো সম্পর্কে শুনলে আপনি নির্ঘাত অবাক হয়ে যাবেন। আসুন জেনে নেয়া যাক, অদ্ভুত সেই পেশাগুলো সম্পর্কে:

১। প্রাচীনকালে রাজা বাদশারা খাবার খাওয়ার আগে খাবরে বিষ আছে কিনা, তা আরেকজনকে খাইয়ে যাচা্ই করে নিতেন। এখন সেই রাজা বা রাজত্ব কিছুই না থাকলেও খাবার পরীক্ষা করার পেশাটা ঠিকই রয়ে গেছে। প্রিয় কুকুর, বিড়াল, পাখি বা যে কোনো পোষা প্রাণীকে খাবার দেয়ার আগে সেই খাবার নিজে খেয়ে পরীক্ষা করে দেখবে- এমন পেশায় কাজ করছে একদল লোক।

২। বিয়ে মানেই বিস্তর কাজ আর ক্লান্তি। সবাই যখন ছুটোছুটিতে ব্যস্ত, বর কনের সময় কাটে বড্ড একঘেয়েমিতে। তাইতো বিয়ে বাড়িতে বর বা কনেকে সঙ্গ দিবে আর হাসি-হাসি মুখ করে ছবি তোলার জন্য পোজ দিবে এমন কিছু লোককে ভাড়া করে থাকেন অনেকে। এই পেশায় যারা আছেন, তাদের প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো বিয়েবাড়িতেই সময় কাটাতে হয়।

৩।প্রিয়জনের মৃত্যুতে কী যে কষ্ট হয় তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ঘটনার আকস্মিকতায় অনেকে হতবিহ্বল পর্যন্ত হয়ে যান। আবার অনেকে অল্প শোকে অনেক বেশি কাতর হয়ে পড়েন। আসলে মৃত্যুর সাথে কান্নার যেন একটা ওতোপ্রতো সম্পর্ক আছে।  একদল লোক আছে যারা এই কান্নাকাটি করাটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। প্রিয়জনের মৃত্যুতে ভাড়া করা এই লোকগুলো কান্নাকাটি করবে; বিনিময়ে ভাড়া করা এই লোকগুলোাকে পারিশ্রমিক দিবেন।

৪। ঘুম নিয়ে অনেকদিন ধরে গবেষণা করছেন কিছু বিজ্ঞানী। কিন্তু গবেষণা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য তাঁদের এমন কিছু লোক দরকার যারা  সারাক্ষণ ঘুমাবে। ঐ ঘুমকাতুরেদের ঘুমের উপর গবেষণা করে হয়তো বড় কিছু আবিষ্কার করে ফেলবে বিজ্ঞানীর দল। আর যারা ঘুমাবে, তারা ঘুমের বিনিময়ে পাবে উপযুক্ত পারিশ্রমিক।

৫। গল্ফ খেলার মাঠ আকারে বিশাল। একটা টার্গেট থেকে আরেকটার দূরত্ব বেশ। খেলোয়াড়রা শট খেললে  কিছু কিছু বল টার্গেট মিস করে, কিছু আবার হারিয়েও যায়। গল্ফ বল সংগ্রাহকারীরা সেই বলগুলো কুড়িয়ে আনে। এটাই তাদের জীবিকা নির্বাহের উপায়। বল কুড়ানোকেই পেশা হিসেবে নিয়েছে তারা। বিনিময়ে রোজগার খুব একটা খারাপ হয় না।

৬। সাপ দেখে কে না ভয় পায়? মজার ব্যাপার হল, বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতির ফলে বর্তমানে সাপের বিষ থেকে তৈরি করা হয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঔষধ। কিন্তু কাউকে না কাউকে তো জলজ্যান্ত সাপ থেকে সেই বিষগুলো সংগ্রহ করতেই হয়।এই সাপের বিষ সংগ্রহ করাটাও কারো কারো পেশা। তারা হয়তো পেশাদার সাপুড়ে নয় তবে গবেষণার জন্যই তারা সাপের বিষ সংগ্রহ করে থাকে।

৭। নেদারল্যান্ডের অ্যামস্টারডাম শহরের ১৬৫টি খাল রয়েছে। ঐ শহরের বাসিন্দারা আবার সাইকেল চালাতে খুব পছন্দ করে। শহরের আঁকাবাঁকা রাস্তাগুলো চলে গিয়েছে সেই সব খালের উপর দিয়ে। নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য পুল, কালভার্ড, ব্রিজ। তারপরও বছরে ১২হাজার থেকে ১৫হাজার বাইসাইকেল নিমজ্জিত হয় খালগুলোতে। আর পৌর কর্তৃপক্ষ সেই নিমজ্জিত সাইকেল খাল থেকে তোলার জন্য নিয়োগ দিয়েছে বেশ কিছু লোককে। তারা ক্রেন নিয়ে খাল থেকে সাইকেল তুলে জীবিকা নির্বাহ করে।

৮। জাপানের রাজধানী টোকিও। পৃথিবীর ব্যস্ততম শহরগুলির একটি। তিন কোটিরও বেশি লোকের বসবাস এই শহরে। ফলে অফিসের সময় ট্রেনে হয় অকল্পনীয় ভিড়। রেল কর্তৃপক্ষ একদল লোককে নিযুক্ত করেছে সেই ভিড়ে যাত্রীদের ভেতরের দিকে ঠেলে ঠিকঠাকমতন ট্রেনের দরজা বন্ধ করার জন্য। জাপানী ভাষায় এদেরকে বলা হয় ‘ওশিয়া’।

প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G