যাদের ঘরেই কাটবে পহেলা বৈশাখ
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
বাঙালি উৎসব প্রিয় জাতি। ধর্মীয় উৎসব ঈদ-পূজা থেকে শুরু করে নিজেদের নববর্ষ, এমনকি ইংরেজদের নববর্ষও পালন করি আমরা উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামীকাল পহেলা বৈশাখ উদযাপনে ঘর থেকে রাস্তায় বের হবে হাজারো মানুষ। কিন্তু এর মধ্যেও রয়েছে ব্যতিক্রম। উৎসব করতে রাস্তায় বেরিয়ে আসবে না সবাই। কেউ কেউ শান্ত-শীতল গৃহকোণেই নিরিবিলি পালন করবে পহেলা বৈশাখ।
তেমনি একজন মানুষ রোযানা মাহবুব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তিনি। সকল উৎসবে ঢাবির শিক্ষার্থীদের সর্বাগ্রে দেখা গেলেও তিনি এবারের পহেলা বৈশাখটা ঘরে বসে কাটাতেই ইচ্ছুক। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “তীব্র গরম আর অসহনীয় ভীড়।” এই গরম আর জনস্রোত ডিঙ্গিয়ে রাস্তায় হেঁটে বেড়ানোর মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ পালনে আগ্রহী নন তিনি। বরং পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বৈশাখের প্রথম দিনটা ড্রয়িং রুমে আডা দিয়ে আর ভালো খাওয়া-দাওয়া করেই কাটিয়ে দিতে চান তিনি।
কথা হয় মিরপুরের বাসিন্দা ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে। পেশায় ব্যাংকার। তিনিও আগের বছরগুলোতে পহেলা বৈশাখে বেড়াতে বের হলেও এ বছর বের হবেন না বলে জানেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকা শহর বেড়ানোর উপযুক্ত নেই। এত জ্যাম, ভীড়, আর গরমে বের না হয়ে সপ্তাহে একটা দিন বাড়তি ছুটি কাটাতে ইচ্ছুক তিনি।
স্বামীর কথায় সায় দিলেন স্ত্রী হাবিবা হোসেন। তিনিও পহেলা বৈশাখের দিনটা ঘরেই কাটিয়ে দিতে ইচ্ছুক। বাইরে বেরুনোতে অনাগ্রহের পেছনে তিনি যোগ করেন আর একটি নতুন কারণ। তিনি গত বছরের পহেলা বৈশাখে যৌণ নিপীড়ণের কথাটি উল্লেখ করে বলেন, কিশোরী কন্যাকে সাথে নিয়ে বৈশাখের প্রথম দিনটিতে বেড়াতে যেতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এমনি নানা রকম কারণে এবার অনেকেই পহেলা বৈশাখের উৎসবে শামিল হবে না। কারও হয়তো পরীক্ষার পড়া, কেউ আবার অসুস্থ। তবে রাস্তায় বেড়িয়ে উৎসবে শামিল না হলেও সকলেই যে মনের মধ্যে বাংলা নববর্ষের আনন্দকে লালন করবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া