যে গুহার নিজস্ব আকাশ আছে
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
গুহা শব্দটির সাথে সব সময় একটি অ্যাডভেঞ্চার কাজ করে। অনেকেই হয়তো দেশের বাইরে ঘুরতে গিয়ে নানা রকম গুহা দেখে এসেছেন। শুধু দেশের বাইরে নয় আমাদের দেশেও বেশ কয়েকটি গুহা আছে। এই গুহাগুলো প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরি হয়। এর কোনটি এতই ছোট যে একজন মানুষ হয়তো কোনোভাবে আশ্রয় নিতে পারে সেখানে। আবার, কোনটি এতই বড় যে, একটা ছোটখাটো শহর ওর ভিতরে সেঁধিয়ে যাবে।
অবাক হলেও সত্য যে, পৃথিবীতে এমনও গুহা আছে যার আলাদা আকাশ আছে। আছে মেঘ-বৃষ্টি-কুয়াশা । আছে খাল বিল পাহাড়ও। শুনে অবাক হচ্ছেন? চলুন ঘুরে আসি চীনের ইয়ারচঙকিং প্রদেশে। এমনই একটি গুহা রয়েছে সেখানে।
‘ইয়ারচঙকিং প্রদেশের বাসিন্দারা অনেক আগে থেকেই গুহাটি সম্পর্কে জানতেন। গুহাটির সামান্য ভিতরে স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতও ছিল। তবে তারা ভিতরের কোনো দৃশ্য ধারণ করে বাইরে নিয়ে আসেননি। আর স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া বাইরের কেউই তেমন যেতেন না গুহাটির মধ্যে। যে কারণে ‘ইয়ার ওয়াং ডং’ গুহাটি সম্পর্কে মানুষের অজানা ছিল।
গুহা বিশেষজ্ঞ এবং ফটোগ্রাফারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল ‘ইয়ার ওয়াং ডং’ গুহার গোপনীয়তা আবিষ্কার করেন এবং ভেতরের বেশ কিছু দুর্লভ ছবি তুলে নিয়ে আসেন।
অভিযাত্রীদের মতে, গুহাটির ভিতরে মেঘ বালুকনা জলীয় বাষ্পসহ রয়েছে আলাদা আবহাওয়া যা অনেকটা শীতল। আবহাওয়ার পাশাপাশি আর্দ্রতাও শীতল। যে কারণে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ অনেকটা কষ্টসাধ্য। গুহার ভিতরে যে খাল রয়েছে তা খুবই ভয়ঙ্কর ও বিধ্বংসী। কেননা এসব খালের পানিতে রয়েছে তীব্র স্রোত যা সহজেই কাউকে ভাসিয়ে নিতে পারে।
অভিযাত্রী দলের একজন সদস্য রবি শোনের ভাষ্যমতে, এর আগে এত বিস্তৃত কোনো গুহা আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। ‘ইয়ার ওয়াং ডং’-এর মধ্যে রয়েছে অসাধারণ কিছু বিষয় যা সত্যি আমাদেরকে অবাক করেছে।
বিশাল এই গুহাটি প্রায় ৮২০ ফুট উঁচু। উপরের অংশের অর্ধেকটাই কুয়াশা এবং মেঘে ঢাকা। গুহাটির ভিতরে যে পানি রয়েছে তা নোনতা স্বাদযুক্ত।
কি ভাবছেন, অদ্ভূদ এই গুহাটি একবার সামনা সামনি দেখে আসতে পারলে মন্দ হতো না, তাই তো? সে তো সুযোগ হলে যাবেনই। আজ না হয় শুধু ছবি দেখে মনের ক্ষুধা মিটান।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল