রাজশাহীতে বন্দুকযুদ্ধে জামায়াত নেতা নিহত
জেলা প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম
নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আটক হওয়ার পর রাজশাহীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন স্থানীয় জামায়াত নেতা অধ্যাপক নূরুল ইসলাম শাহীন।
নিহত নুরুল ইসলাম নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের (পূর্ব) সেক্রেটারি এবং মতিহার থানা এলাকার ইসলামিয়া কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।
পুলিশের দাবি, বুধবার ভোররাতে নগরীর নলখোলা আশরাফের মোড়ে ‘বন্দুকযুদ্ধে’র সময় সহযোগীদের গুলিতে নুরুল ইসলাম নিহত হন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল, গুলি ও একটি বিদেশি রিভালভার উদ্ধারের কথাও জানিয়েছে পুলিশ।
তবে পরিবারের দাবি ইসলামীয়া কলেজের ওই অধ্যাপককে ধরে নেওয়ার পর নিজেদের হেফাজতেই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে ডিবি পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী জানান, মঙ্গলবার রাতে তার স্বামীকে সাদা পোশাকের পুলিশ আটকের পর বুধবার ভোরে হাসপাতাল থেকে ফোন করে নিহতের খবর দেয়া হয়।
বন্দুকযুদ্ধের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে দুপুরে মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন পুলিশ কমিশনার মো. শামসুদ্দিন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, মঙ্গলবার রাতে জামায়াত নেতা নুরুলকে আটকের পর তাকে সঙ্গে নিয়ে নলখোলা এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ।
সেখানে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পালাতে গিয়ে নুরুল সহযোগীদের গুলিতে আহত হন। তাকে হাসপাতালে নিলে ভোরে মারা যান।
বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে ককটেল, গুলি ও রিভালভার উদ্ধারের কথা জানান তিনি।
তবে নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সির স্ত্রী মাসুমা আখতার সাংবাদিকদের জানান, ‘মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে তার স্বামীকে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার পদ্মা অপসেট প্রেস থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ আটক করে।’
তিনি জানান, ‘তারা বিভিন্ন থানায় খোঁজ নিয়েও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত না হতে পেরে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে যান। সেখানে নুরুলকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়- বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হবে।’
বুধবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে ফোন করে নুরুল ইসলামের মৃত্যুর খবর দেয়া হয় বলেও জানান নিহতের স্ত্রী মাসুমা আখতার।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভোররাতে একইভাবে আটকের পর র্যাবের গাড়ি থেকে পালাতে গিয়ে আসাদুল্লাহ তুহিন নামে এক শিবির নেতা নিহত হয় বলে দাবি করে র্যাব। তবে পরিবার ও শিবিরের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
প্রতিক্ষণ /এডি/সাবের