রাডার দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন এরশাদ
রাডার ক্রয় দুর্নীতি মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ তিন আসামির সবাইকে খালাস ঘোষণা করেছেন আদালত।
বুধবার বিকেলে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এই রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে বেলা সোয়া ৩টার দিকে এরশাদ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে হাজির হন। দুপুর আড়াইটায় এ মামলায় এরশাদ আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দাখিল করেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, যুক্তিতর্ক পর্যালোচনা করে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ, সাবেক সহকারী প্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা (মৃত)। ইউনাইটেড ট্রেডার্সের অপর পরিচালক শাহজাদ আলীকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল জানান, গত ১২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।
নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর এরশাদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা ক্ষতি করেন।
প্র্রতিক্ষণ/এডি/সাই