রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাড়িতে একদিন
গোলাম রসূল :
চারদিকে অথৈই পানি। স্বাভাবিক বর্ষার সাথে এবার যোগ হয়েছে বন্যার পানি। ফলে সমস্ত হাওর এলাকা পানিতে সয়লাভ হয়ে আছে। পানির ভাব দেখে মনে হচ্ছে হাওরের মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতেই তার আগমন। অবশ্য সেটাই সত্য। হাওর আর পানি, পানি আর হাওর মিলেমিশে একাকার, একে অপরের পরিপূরক। আর এই বিশাল পানির রাত ঠেলে এগিয়ে চলছে লঞ্চ। গন্তব্য কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে অবস্থিত বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাড়ি।
লঞ্চটি গত ৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) অস্টগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৯ ব্যাচের আয়োজনে পিকনিকের।হাওর এলাকায় পিকনিক বা বনভোজনের মাধ্যম মানেই নৌকা আর ট্রলার। অস্টগ্রামের ইতিহাসে এই প্রথম লঞ্চ এর মাধ্যমে পিকনিক। তাই স্বাভাবিকভাবেই গোটা উপজেলার মানুষের মনযোগ আর আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ব্যতিক্রমধর্মী এই পিকনিক।
১৯৯৯তম ব্যাচের যারা এই পিকনিকে অংশগ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে টিপু, সাহানশা, মোক্তার, বানা মিয়া, সুরভী, আল্পনা, পুলক, আপণ, শ্যামলী, মুন্নী ও মিলা।
অস্টগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ সৌদিআরব শাখার সহ-সভাপতি শেখ খালেক হাসান (টিটু)র উদ্যোগে এ পিকনিকে প্রায় ৩৫ জন অংশগ্রহণ করে।
টিটু জানান সকাল বেলা অস্টগ্রাম থেকে রওয়ানা দিয়ে নাচ আর গানের মধ্য দিয়ে দুপুরে রাস্ট্রপতির বাড়ি গিয়ে পৌছায় পিকনিক দল। সেখানে রাষ্ট্রপতির বাড়ি দর্শন আর রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে সাংসদ রেজওয়ান আহমেদ তৌফিকের সাথে কথোপকথন শেষে পুরো মিঠামইন সদর ঘুরে বেড়ান। এরপর সম্পন্ন হয় ভোজন পর্ব।
ফেরার পথে লঞ্চের পেছনে বসে ৯৯তম ব্যাচের সবাই মিলে সমস্বরে গান ধরেন… আজ দু:খ ভোলার দিন, আজ মন হারানোর দিন, আজ প্রাণ খুলে শুধু গান হবে, সুখ হবে সীমাহীন…
প্রতিক্ষণ/এডি/রন