একসময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যা করেননি, তাকে খুন করা হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে ইতোমধ্যে। রাবেয়া সুলতানা রুবি নামে আমেরিকা প্রবাসী এক বাংলাদেশি ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা ছেড়েছেন। সোমবার তিনি ভিডিও বার্তাটি প্রকাশ করেন এবং মুহূর্তের মধ্যেই এটি আজেকের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে।।
ভিডিওটিতে আমেরিকা প্রবাসী রুবি বলেন, সালমান শাহকে খুনে জড়িত ছিলেন তার স্বামী যিনি চীনা নাগরিক চ্যান লিং চ্যান ওরফে জন চ্যান নামে বাংলাদেশে পরিচিত। ধানমন্ডির সাংহাই রেস্টুরেন্টের মালিক তিনি। চীনাদের দিয়ে এই খুন করানো হয়। এতে জড়িত ছিলেন সালমান শাহের স্ত্রী সামিরার পরিবারও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এরই মধ্যে এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
এই প্রবাসী মহিলাটি সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরীকে অনুরোধ করেন, এই খুনের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানেন। বিষয়টি যেভাবেই হোক আবার যেন তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। তিনি যেভাবেই পারেন আদালতে সাক্ষী দেবেন।
এদিকে ইতোমধ্যে ভিডিওটি দেখেছে সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী। তিনি এখন লন্ডনে সালমানের ছোট ভাই শাহরানের কাছে। নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘প্রিয় দেশবাসী। আমাকে সাহায্য করুন। দেখুন, রুবি সুলতানার স্বীকারোক্তি। কীভাবে সালমানকে হত্যা করা হয়েছে। যেভাবে পারেন এফবিআইকে জানান, বাংলাদেশের সকল চ্যানেলকে অনুরোধ করছি রুবির স্বীকারোক্তিটা চালিয়ে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রিয়জন, খেয়াল রাখবেন এই নিউজের পর অনেকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। শান্তভাবে কাজ করবে।’ এরপর তিনি সালমানের স্ত্রী সামিরা ও তার পরিবার যেন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারে সে দিকেও নজর দিতে অনুরোধ করেন।
রুবি চৌধুরী এখন পেনসিলভানিয়ায়। ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, ‘জীবন হারানোর আশঙ্কায় আছেন তিনি। তিনিই নাকি একমাত্র জীবিত মানুষ যার কাছে প্রমাণ আছে সালমানকে খুন করা হয়েছে। তাই তাকেও মেরে ফেলা হতে পারে। কেন খুন করা হতে পারে রুবিকে? তার ভাষ্যে, ‘কারণ আবার (সালমানের মৃত্যু রহস্য) কেস ওপেন হইছে।’
রুবির ভিডিও বার্তা দেখে তার কাছে ফোন নাম্বার চেয়ে নীলা চৌধুরী ফেসবুকে লেখেন, ‘রুবি তুমি এতো কথা বলতে পারছ তাহলে এফবিআই বা আমেরিকার পুলিশকে জানাতে পারছ না কেন, তারা যাতে তোমাকে নিরাপদে রাখে। তোমার ফোন নাম্বার দাও।
প্রতিক্ষণ/এডি/রন