রোববারের মধ্যে সালাউদ্দিনকে হাজিরের নির্দেশ আদালতের
আদালত প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডট কম
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করে আগামী রোববারের মধ্যে আদালতে কেন হাজির করার করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী সাবেক সাংসদ হাসিনা আহমেদের দায়ের করা এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে এ আদেশ দেয়া হয়েছে।
হাসিনা ওই রিটে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সালাহ উদ্দিনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চেয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, র্যাবের ডিজি, সিআইডিপ্রধান, এসবির অতিরিক্ত আইজি, ডিএমপি কমিশনার, ঢাকা জেলা প্রশাসক, উত্তরা থানার ওসিকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতে সালাহ উদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানিতে খন্দকার মাহবুব আদালতকে বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা দেয়া হোক, অন্যথায় তার যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
খন্দকার মাহবুবের আবেদনের বিরোধিতা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। শুনানির এক পর্যায়ে তিনি আদালতকে বলেন, ‘আজ আদেশ না দিয়ে রোববার আদেশ দিন।’
এরপর খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আজকেই রুল দেয়া উচিৎ। অন্যথায় সালাহ উদ্দিনের দুঃসংবাদ (মুত্যুর খবর) আসতে পারে। সালাহ উদ্দিন মারা গেলে বা নিহত হলে তখন আদেশ দিয়ে কী লাভ? এজন্য আজকেই একটি রুল দিন। আদেশের জন্য সময় নেয়া ঠিক হবে না।’
শুনানিতে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ‘দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে সালাহ উদ্দিনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। সালাহ উদ্দিনকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ না দিলে হয়তো বা তার বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এ ব্যাপারে আজই আদেশ দেয়া প্রয়োজন।’
আদালত উভয়পক্ষের শুনানিতে বলেন, ‘কে কোন দল করে সেটি বড় কথা নয়। কথা হলো রাষ্ট্রের কোনো নাগরিক বা কোনো ব্যক্তি নিখোঁজ হলে তাকে খুঁজে বের করা। আর এ দায়িত্ব সরকারের।’
বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকের একটি দল আটক করে নিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টায় রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে তারা জানান। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না।
এরআগে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না আটক হওয়ার সময়ও একই রকম ঘটনা দেখা গিয়েছিল। তখনও মান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করে। পরে অবশ্য র্যাব মান্নাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে।
প্রতিক্ষণ/এডি/রানা