লালমনিরহাটে পানিবন্দি হাজারো পরিবার
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলায় ভয়াবহ বন্যয় প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি সহ তিন শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানিবন্দি ওইসব পরিবারের লোকজন বর্তমানে স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় জেলার কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তাপাড়ের বিস্তৃর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের তীব্র সংকট ।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তিস্তার পানি ৩০ মেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাতে তা এক পর্যায়ে বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে। ফলে তিস্তার পানিতে বহুল আলোচিত ছিটমহল আঙ্গরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের চর এলাকার লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তাই বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানিবন্দি মানুষজনকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য পাউবোর পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/জুয়েল