লিবিয়ার জাবিয়া শহরের কাছে সমুদ্রের তীরে ভেসে এসেছে ৮৭টি মৃতদেহ। এরা সবাই আফ্রিকার অভিবাসী। ধারণা করা হচ্ছে তারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাবার পথে নৌকাডুবির শিকার হয়েছেন।
উপকূলের কাছেই একটি ছেঁড়া রাবারের নৌকা পাওয়া গেছে। মনে করা হচ্ছে মৃত ব্যক্তিরা সম্ভবত ইতালি যাবার চেষ্টায় ওই নৌকায় উঠেছিলেন। আরো মৃতদেহ পাওয়া যেতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এ ধরণের প্রতিটি নৌকায় সাধারণত ১২০ জন করে লোক ওঠে। মৃতদের মধ্যে বেশ কিছু শিশুও রয়েছে। মৃতদেহগুলো ত্রিপোলিতে নিয়ে যাওয়া হবে।
রোমের অভিবাসী বিষয়ক কর্মকর্তা ফ্লেভিও ডি গিয়াকোমো বলেন, নৌকাটি লিবিয়া থেকে শনিবার ইতালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু পথিমধ্যে চোরা-কারবারিরা সম্ভবত নৌকাটি থেকে ইনহিন খুলে নেয়। কয়েকদিন ইঞ্জিন ছাড়াই নৌকাটি ভূমধ্যসাগরে ঘুরপাক খায় এবং সব আরোহী মৃত্যুমুখে পতিত হয়।
রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা মৃতদেহগুলোর সৎকারের ব্যবস্থা করছেন। কৃষ্ণাঙ্গ এবং শ্বেতাঙ্গ উভয় ধরণের মানুষের লাশ শনাক্ত করেছেন তারা।
গত কয়েক মাসে চোরাই পথে ইউরোপে যাবার চেষ্টায় অভিবাসীদের মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে পৌঁছেছে। সাধারনত শীতের সময় অবৈধভাবে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা কিছুটা কমে যায়। তারপরে জানুয়ারি মাসে প্রায় ২২৮ জনের মৃতদেহ খুঁজে পায় ইউরোপের বর্ডার ও কোস্টগার্ডরা।
গত বছর এভাবে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাবার চেষ্টা করতে গিয়ে নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৫ হাজার অভিবাসীর মৃত্যু হয়।