লিলন হত্যায় রেশমা রিমান্ডে

প্রকাশঃ মার্চ ১৬, ২০১৫ সময়ঃ ৫:৩৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৩৫ অপরাহ্ণ

জেলা প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডট কম

6379b4a283199a9ba103c9390fa15a77_XLরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার নাসরিন আখতার রেশমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গ্রেপ্তারের পর গত ৭ মার্চ রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এ হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিল।

কিন্তু আদালতে নথি না থাকায় পরদিন রোববার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। নথি তলবের পর আজ সোমবার রিমান্ড শুনানি শেষে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্ত রানী দাস দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় আজ অথবা আগামীকালই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে নিয়ে আসা হবে। গত ৭ মার্চ আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল বলে জানান ওসি ডিবি।

এদিকে, রাবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এন্তাজুল হক জানান, ড. শফিউল হত্যাকাণ্ডের পর কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দফতরের সহকারী সেকশন অফিসারের দায়িত্বে থাকা রেশমাকে এর আগেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নাসরিন আখতার রেশমা কর্মস্থলে আসেননি। যোগদানের জন্য পরে তাকে নোটিশও পাঠানো হয়। এরপরও কর্মস্থলে লাগাতার অনুপস্থিত থাকার কারণে তাকে তার নিজ পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

রাবির অর্থ ও হিসাব দপ্তরের সহকারী সেকশন অফিসার নাসরিন আখতার রেশমা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাবের হাতে ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে গ্রেপ্তার আবদুস সামাদ ওরফে পিন্টুর স্ত্রী।

হত্যাকাণ্ডের পর সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব দাবি করেছিল, রেশমার সঙ্গে অধ্যাপক শফিউলের ‘অসৌজন্যমূলক আচরণের’ কারণেই হত্যার পরিকল্পনা করেন তার স্বামী পিন্টু।

গত ৬ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডি এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রেশমাকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অধ্যাপক শফিউল হত্যার ঘটনায় রেশমা ডিবি পুলিশকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ নভেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাবি সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাসার সামনে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন। পরে ৪টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর র‌্যাবে হাতে গ্রেপ্তার ৬ জন ও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ৫ জনসহ যুবদল ও জামায়াত-শিবিরের ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয়া হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।

প্রতিক্ষণ/এডি/রাজন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G