শেষ মুহুর্তের ঈদ শপিং
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
আগামীকাল ঈদ। সবাই মোটামুটি রাজধানী ঢাকাসহ সব শহর খালি করে দিয়ে গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। সাথে করে নিয়ে গেছেন ঈদের নতুন জামা-জুতো। অর্থ্যাৎ ঈদ শপিং তো শেষই।
কিন্তু না। সবারই ঈদের কেনাকাটা শেষ নয়। কেউ কেউ আছেন একদম শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা করেন। ঈদের নতুন জামা, জুতো, কসমেটিক্স থেকে শুরু করে ঈদের টুপিটাও ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে কেনার জন্য রেখে দেন। এই ধরণের ক্রেতারাই এখন রাজধানী ঢাকার নামীদামী শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাথের দোকানগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ ইশতিয়াক। তাকে দেখা গেলো নগরীর নিউ মার্কেটে। পাঞ্জাবি কিনতে এসেছেন তিনি। “এত দেরি কেন পাঞ্জাবি কেনায়?” এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় রমজানের শেষ দিনগুলোতেই দোকানে সব কালেকশান একসাথে থাকে। প্রথমদিকে সেটা থাকে না। তাই আমি দেরি করেই সব সময় ঈদের বাজার করি।”
অন্যদিকে আনিসা, পেশায় সাংবাদিক, তিনি দেরিতে ঈদ শপিং এর কারণ হিসেবে দায়ী করেন পেশাগত কারণে সময় না পাওয়াকে।
এদিকে মোহাম্মদপুরের মেট্রোপ্লাজায় গৃহিনী রাজিয়াকে যখন জিজ্ঞেস করি, “পুরো পরিবার নিয়ে শপিং করতে এসেছেন। ঈদতো একদম দোরগোড়ায়?” তখন তিনি বলেন “আমার দেরি করে শপিং করতেই ভালো লাগে। ঈদ চলে আসছে। খুব দ্রুত শপিং শেষ করতে হবে। এই যে তাড়াহুড়াটা, এটা আমার খুব ভালো লাগে।” তবে দেরি করি শপিং করার সব জামাকাপড় রেডিমেড কিনতে হয়। দর্জিবাড়ি যাওয়ার আর সময় পাওয়া যায় না।
এমনই নানান কারণে রমজানের শেষ সপ্তাহে অনেক শপিং এ বের হয়। আর অনেকে একেবারে শেষ রোজার ইফতারের পর। যেমন চাঁদরাতে শপিং করা তো চট্টগ্রামবাসীর একটি পুরনো ঐতিহ্য।
এ শপিং শপিং মলের রেডিমেড দোকানগুলোতে হয়, আবার ফুটপাথের সব পণ্যই রেডিমেড ও স্বল্প মূল্যের হওয়ায় এখান থেকেও শেষ রোজার দিনে নির্ভাবনায় শপিং করা যায়।
রমজানের শুরুতে হোক আর শেষে, ঈদের নতুন জামাজুতোর আনন্দ সবসময়ই অনাবিল। তবে যারা একেবারে শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা করছেন তারা একটা জিনিস মাথায় রাখবেন, যেন তাড়াহুড়ূর বশে খারাপ পণ্য না কিনে ফেরেন কিংবা দোকানদার আপনার তাড়াহুড়ার সুযোগে আপনার কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করে আপনাকে ঠকিয়ে না দেয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া