শ্বাসকষ্ট হৃদরোগের লক্ষণ !
ড: মাহবুবুর রহমান:
শ্বাসকস্ট বা সহজেই হয়রান হয়ে যাওয়া হৃদরোগের একটি লক্ষণ। হৃদপিন্ডের কাজ হল অক্সিজেন ও খাদ্যসমৃদ্ধ বিশুদ্ধ রক্ত সারা শরীরে পৌঁছে দেয়া। যখন সেটা সে পর্যাপ্ত পরিমাণে পারবে না তখনই শ্বাসকস্ট বা হয়রান হয়ে পড়তে পারেন।
কারণ কী কী?
প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল হার্ট ফেইলিওর। হার্টের তিনটি মূল উপাদান আছে। ১। মাংসপেশি ২। রক্তনালী ৩। ভাল্ব।
এর যেকোন একটিতে সমস্যা হলে শ্বাসকস্ট হতে পারে।
এরমধ্যে রক্তনালীর ব্লক হল প্রধান কারন।রক্তনালীতে চর্বি জমে ধীরে ধীরে কিংবা হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যেটাকে আমরা বলি হার্ট এ্যাটাক।
বিভিন্ন কারনে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে হার্ট ফেইলিওর হতে পারে। আমরা বলি কার্ডিওমায়োপ্যাথী।
ভাল্ব নষ্ট হবার মূল কারণগুলোর মধ্যে বাতজ্বর , কার্ডিওমায়োপ্যাথী, রক্তনালীর ব্লক এবং কিছু কোলাজেন ডিজিজ দায়ী।
এছাড়া হার্টের চারিদিকে পানি জমেও শ্বাসকস্ট হতে পারে। হার্টের নিজের সমস্যা নয় এমন কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যেমন- ফুসফুসের রোগ, তীব্র রক্তশূন্যতা, থাইরয়েড রোগ, তীব্র ইনফেকশন , পানিশূন্যতা, ডায়াবেটিক জটিলতা, যেকোন তীব্র সিস্টেমিক রোগ এমনকি মানসিক আতংঙ্ক থেকেও শ্বাসকস্ট হতে পারে।
কী করবেন?
এটা যে হার্টের কারণে হচ্ছে কিনা তা সহজেই একটি ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম এবং বুকের এক্সরে করালেই ধরা পড়বে। তবে তা একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞর মতামতের ভিত্তিতে হতে হবে।
চিকিৎসা কী?
হৃদরোগ চিকিৎসার সাফল্যের চাবিকাঠি হল সময়। অর্থাৎ সময়মত রোগনির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু করলে বেশীরভাগ রোগ ভাল হয়ে যায় ।
কতদিন চিকিৎসা করবেন?
হৃদপিন্ড সারাজীবন আপনার সেবা করছে, কাজেই আপনারও উচিত তার সেবা করা। কমবেশী সারাজীবন হৃদপিন্ডের পরিচর্যা করতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং চিকিৎসকের দেয়া কিছু ওষুধ আপনার হৃদপিন্ডকে সতেজ মজবুত এবং ভালবাসায় পূর্ণ করবে!