সাগর-রুনি হত্যাঃ খুনি গাইবান্ধার!
জেলা প্রতিবেদক
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে গাইবান্ধা থেকে ভাড়া করা হয়েছিল বাদশা কসাইসহ ৪/৫ জনকে। আর রুস্তম নামের এক সাংবাদিক ভাড়াটে খুনিদের ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলো।
জিয়াউল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর এমন তথ্যসহ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে স্থানীয় পুলিশ।
সম্প্রতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে এবং অপরাধীদের নাম ঠিকানা উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের মাস্তকানিপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী জিয়াউল ইসলাম। এই অভিযোগপত্র পুলিশ সদর দপ্তরসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি এখন এলাকায় সবার মুখে মুখে। আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে পাঠানো লিখিত অভিযোগে জিয়াউল বলেন, রুস্তম নামে এক সাংবাদিক সাগর-রুনিকে হত্যার জন্য গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কানিপাড়া গ্রামের বাদশা কসাইসহ ৪/৫ জনকে ভাড়া করে ঘটনার রাতে ঢাকায় নিয়ে যায়।
পরে অ্যাপার্টমেন্টের নিরাপত্তাকর্মীর সহায়তায় তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় সাগর-রুনির ফ্ল্যাটে। পরে তারা রুনির বেডরুমের খাটের নীচে অবস্থান নেয়। মধ্যরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় প্রথমে সাগরকে বালিশ চাপায় ও ধারাল অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করে ভাড়াটে খুনীরা। এরপর রুনিকেও হত্যা করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায় তারা।
অভিযোগ তদন্তে আসার পর জিয়াউল ইসলামকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।
তবে জিয়াউলের মা তার দাবি করেছেন, তার ছেলে কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। রুস্তমের সঠিক পরিচয় জানা না গেলেও অভিযোগটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে ইন্দিরা রোডের বাসায় নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি। ঘটনার প্রায় সাড়ে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যাকান্ডের কোন কিনারা করতে পারেনি আইনশৃংখলা বাহিনী।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির