সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমতকে আটক
রাজধানীর বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে দুই তরুণীর দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার রাজধানীর নবাবপুর রোডের ইব্রাহীম হোটেল থেকে বিল্লালকে গ্রেফতার করে র্যাব-১০। একইদিন গুলশান থেকে দেহরক্ষী রহমতকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বিল্লালের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সুজন ছদ্মনাম ব্যবহার করে ঐ হোটেলে একটি কক্ষ ভাড়া করেছিল।
অন্যদিকে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, গুলশান থেকে রহমতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিবি জেনেছে, তার নাম রহমত। সে আজাদ নামে চাকরি করত।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলার মূল আসামি সাফাত ও তিন নম্বর আসামি সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা রিমান্ডে। এরপর আজ (সোমবার) সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আজাদ ওরফে রহমতকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ মামলার মোট পাঁচ আসামির চারজনই গ্রেফতার হলো।
তবে দুই নম্বর আসামি নাঈম আশরাফ এখনও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। পুলিশি অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা গান্ধাইল গ্রামের আমজাদ হোসেন ফেরিওয়ালার ছেলে এইচএম হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ।
বাবার নাম-পরিচয় গোপন রেখে এক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে গণপিটুনির শিকার হয় সে। ঢাকায় এসে সে নিজের নাম পাল্টে রাখে নাঈম আশরাফ। বাবার নাম-পরিচয় বদলে এ পর্যন্ত বিয়ে করেছে তিনটি। দুই স্ত্রী তার প্রকৃত পরিচয় জেনে চলে গেলেও তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখন ঢাকায় বসবাস করছে বনানীর ধর্ষণ মামলার দুই নম্বর আসামি।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ