সার্বিয়া শরণার্থীদের ওপর হামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বুধবার বিকেলে হাঙ্গেরির সীমান্তবর্তী সার্বিয়ার হরগস শহরে সার্বিয়া সীমান্ত থেকে শরণার্থীদের সরিয়ে দিতে টিয়ারগ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করলো হাঙ্গেরির পুলিশ।
শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে সার্বিয়া সীমান্তে ১৭৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে হাঙ্গেরি। মঙ্গলবার থেকে শরণার্থীদের প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর আইন কার্যকর করা হবে।
নতুন আইন অনুযায়ী, অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কেউ হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করলেই গ্রেফতার করা হবে। সোমবার মধ্যরাত থেকেই সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে হাঙ্গেরি।
বুধবার বিকেলে সার্বিয়া সীমান্তে হাঙ্গেরির নির্মিত কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে শরণার্থীদের একটি দল বিক্ষোভ করছিল। তারা পুলিশের কাছে সীমান্ত দরজা খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিল। তাদের আশা, হয়তো বিক্ষোভের এক পর্যায়ে পুলিশ সীমান্তের দরজা খুলে দেবে। তবে হাঙ্গেরির পুলিশ তাদের অবস্থানে অনড় থাকে। এ সময় বেশ কয়েকজন শরণার্থী হাঙ্গেরি সীমান্তরেখা লক্ষ্য করে খালি বোতল ছুঁড়ে মারে। কিছুক্ষণ পরই দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস ছুঁড়ে মারে।
ইরাক থেকে আসা শরণার্থী আমির হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ আমরা যুদ্ধ ও সহিংসতা থেকে পালিয়ে এসেছি। আমরা ইউরোপের কাছে এ ধরণের নৃশংসতা ও অমানবিকতা আশা করি না।’
হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘটনার জন্য শরণার্থীদের দায়ী করে বলেন, ‘এটা অপ্রত্যাশিত যে একদল মারমুখী শরণার্থী হাঙ্গেরি পুলিশের বিরুদ্ধে এ ধরণের হামলা চালিয়েছে। হাঙ্গেরির ভেতরে এ ধরণের সহিংস লোকজন যাতে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করাই পুলিশের দায়িত্ব।’
সার্বিয়া সীমান্তের ভেতরে হাঙ্গেরি পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও জলকামান দাগার প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নেবোজসা স্টিভানোভিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, হাঙ্গেরি সীমান্তে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। হাঙ্গেরি পুলিশের ওপর যাতে আর এ ধরণের হামলা না হয় এবং শরণার্থীদের কাঁটাতারের বেড়া থেকে মানবিক দূরত্বে রাখার জন্যই সেখানে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে