সেইলরের নানামুখী প্রশংসনীয় উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজেদের কার্যক্রমকে শুধু ব্যবসায় সীমাবদ্ধ না রেখে নানামুখী কর্মকান্ডে জড়িত হচ্ছে রিটেইল ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘সেইলর’। এর মধ্যে পরবর্তী প্রজন্মকে খেলার প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে ফুটবলের সাথে যুক্ত হয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছে জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ড। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের উদ্যোগে দেশব্যাপী অনুর্ধ্ব-১৫ ফুটবল টুর্নামেন্টের স্পন্সর হয় সেইলর। তৃণমূল পর্যায়ে ফুটবলকে ছড়িয়ে দিতে সেইলরের এই উদ্যোগ সফলভাবে শেষ হয় ব্যাপক আলোচিত ক্ষুদে ফুটবলারদের এই টুর্নামেন্ট।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাথে তিন বছরের চুক্তি করে সেইলর। প্রথম আসরেই ব্যাপক সফলতায় বেশ পুলকিত ফুটবল সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে এই টুর্নামেন্ট থেকে বেশ কয়েকজন মেধাবী প্রতিশ্রæতিশীল ফুটবলার খুঁজে বের করেছে বাফুফে।
পরবর্তী টুর্নামেন্টগুলো আরো জমকালো হবে বলে প্রত্যয়ী সেইলর ও বাফুফে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে সেইলরের হেড অব বিজনেস ডেভলপমেন্ট রেজাউল কবির জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের ক্রীড়ার প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে সেইলর ফুটবলের সাথে যুক্ত হয়েছে। এতে শিশু-কিশোররা নানা অনিয়ম ও অন্যায় থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি ভালো খেলোয়াড় হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে পারবে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করে দেশের মান বাড়াতে অসামান্য ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে, খেলাধুলার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে সেইলর। সেইলর গ্রীন সেভার প্লান্ট ফর প্লানেট শিরোনামে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়। রাজধানীর একাধিক স্বনামধন্য স্কুলে পরিবেশ রক্ষায় এই ধরনের কর্মসূচী পালন করে সেইলর। এই সময় শিশুদের মাঝে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।
অসাধারণ এই উদ্যোগের ব্যাপারে রেজাউল কবির জানান, উষ্ণ হচ্ছে আমাদের পৃথিবী। ধীরে ধীরে বসবাসের অনুপযোগী হচ্ছে ঢাকা। আমাদের সবার আন্তরিক চেষ্টায় প্রিয় ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করা সম্ভব। আর শিশুরা যদি ছোটবেলা থেকেই সচেতন হয় তবেই ভবিষ্যতে এর সুফল পাওয়া যাবে। তাই আমরা শিশুদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। আর এই ধরনের কর্মসূচী নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
শিশুদের পাশাপাশি তরুণদের নিয়েও কাজ করছে সেইলর। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ বিতরণের মাধ্যমে নিজেদের সামাজিক কার্যক্রমকে আরো বেশি গতি করছে জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডটি। এরই মধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ১০০০ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। সবুজ পৃথিবী গড়তে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রানিত করতে এই প্রকল্পে সহযোগীতা করেছে সেইলর।
গাছ আবাদের পূর্বের সময় ছিল ২০ বছর আগে আর পরবর্তী সময় আজ থেকেই এই থিমকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই গাছ বিতরণ করা হয়। এই ব্যাপারে রেজাউল কবির জানান, একটি সবুজ সুন্দর ঢাকা ও বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছ বিতরণ করছি। শুধু ঢাকা নয় ভবিষ্যতে ঢাকার বাইরেও এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। এছাড়া, পরিষ্কার-পরি”ছন্ন রাজধানী গড়তে আরেকটি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে সেইলর। পরিবেশ দূষণ রোধে নগরের সৌন্দর্য বাড়াতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গুলশান, বনানী ও বারিধারা লেক পরিষ্কার করা হয়েছে। আর এই উদ্যোগে সহযোগীতা করেছে সেইলর।
এদিকে, ভবিষ্যতে মাদকবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রমসহ আরো নানামুখী কার্যক্রমের সাথে জড়িত হওয়ার কথা ভাবছে সেইলর। রেজাউল কবির জানান, শুধু ব্যবসা করেই নিজেদের কার্যক্রমকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিজেদের আরো বেশী সক্রিয় করতে চাই। সেইলর শুধু ব্যাবসায়িকভাবে জনপ্রিয় হোক এটা চাইনা বরং সবদিক থেকে জনপ্রিয় হলে আমাদের স্বপ্ন সত্যি হবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি