সেনা-সংবিধান নিয়ে গণভোটে থাইল‌্যান্ড

প্রকাশঃ আগস্ট ৭, ২০১৬ সময়ঃ ৬:৩৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৩৮ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

thailand_122936

সেনাবাহিনী প্রণীত নতুন সংবিধান ইস্যুতে রোববার গণভোটে অংশ নিয়েছে থাইল্যান্ডের জনগণ। সংবিধানটিকে মেনে নিলে তা দেশটিতে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে বলে জানিয়েছে জান্তা সরকার। খবর বিবিসির। 

স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং আজ রাত আটটার মধ্যেই প্রাথমিক ফল পাওয়া যাবে বলে শোনা যাচ্ছে।যদিও তিন দিন পর ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

জান্তা সরকারের দাবি, গণভোটে নতুন সংবিধান অনুমোদিত হলে পূর্ণ গণতন্ত্রে ফেরার জন‌্য তা একটি বড় পদক্ষেপ হবে। কিন্তু প্রচারণার ওপর বিধিনিষেধ থাকায় গণভোটকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিহিত করেছে সরকার বিরোধীরা।

তবে প্রস্তাবিত সংবিধানকে গণতন্ত্রবিরোধী বলছে বিরোধীরা। সংবিধানের সব ধারা সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কিছুই জানে না। এসব বিষয়ে যথেষ্ট প্রচারণা চালানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলের সদস্যরা। বিরোধীদের কথার সঙ্গে একমত প্রকাশ করে অনেক থাই নাগরিক জানিয়েছেন যে, তারা আসলেই নতুন সংবিধান সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না।

এর আগে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক শিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল সাধারণ নাগরিকরা। ফলে সেসময় দেশের ক্ষমতা দখল করে আগের সংবিধান বাতিল করে দেয় সেনাবাহিনী। সম্প্রতি থাইল্যান্ডকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণভোটের আহ্বান জানানো হয়। 

বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় চার কোটি লোক এ গণভোটে অংশ নেবে। যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক ‘হ্যাঁ’ ভোটের মাধ্যমে নতুন খসড়া সংবিধানের পক্ষে অবস্থান নেয়, তাহলে এটি চূড়ান্ত সংবিধান হিসেবে গ্রহণ করা হবে।

সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রাউত চান-ওচা আগামী বছর দেশটিতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করবেন। আর যদি খসড়া সংবিধান প্রত্যাখ্যাত হয়, তাহলে সেনাবাহিনীর ভূমিকা বা অবস্থান কী হবে, তা জানা যায়নি।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/আরএম

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G