স্কুলে যাচ্ছে না চার লাখ সিরীয় শিশু
সোহেল রানা সবুজ
সিরীয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে নিহতের সংখ্যা আড়াই লাখ। ২০১১ সালের মার্চ মাস থেকে ৪০ লাখেরও বেশি সিরীয় দেশ ছেড়ে পালায়। উদ্বাস্তু এই সিরীয়দের মধ্যে শুধু তুরস্কেই রয়েছে ২২ লাখ। এদের মধ্যে বিদ্যালয়ে যাওয়ার বয়সী শিশুদের সংখ্যা সাত লাখ আট হাজার। এদের মধ্যে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার সহযোগিতায় প্রাথমিক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে দুই লাখ বারো হাজার শিশু।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইট ওয়াচ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে,
তুরস্কে অবস্থান করা চার লাখের বেশি সিরীয় উদ্বাস্তু শিশু বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না। মূলত আর্থিক সংকটের কারণেই লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে তাদের। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপমুখী উদ্বাস্তু স্রোত আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সিরীয় উদ্বাস্তু শিশুদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় ও তুরস্ক সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। সংস্থার উদ্বাস্তু অধিকার প্রকল্পের স্টিফেন গি বলেন,
‘‘ সিরীয় শিশুদের লেখাপড়ার সুযোগ তৈরী করে দিতে না পারলে, পুরো প্রজন্ম হুমকির মুখে পড়বে। উন্নত ভবিষ্যতের কোন বাস্ত সম্ভাবনাই থাকবে না। এটি ইউরোপের ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রার আশঙ্কাই বাড়িয়ে দেবে।’’
এইচআরডব্লিউ সংগঠনটির কর্তৃপক্ষগণ আরোও জানায়,
‘‘ তুরস্কে উদ্বাস্তুদের কাজ করার অনুমতি নেই। ফলে তাদের পক্ষে শিশুদের বিদ্যালয় কিংবা যাতায়াত খরচ বহন করা সম্ভব হয় না। আবার ভাষা ও সামাজিক মেলামেশাও একটি সমস্যা। বিদ্যালয়ে গেলে অন্য শিশুরা এদের উপহাস করে।’’
সব মিলিয়ে সিরিয়ার ভেতর ও বাহিরে প্রায় ত্রিশ লাখ শিশু শিক্ষা থেকে ঝরে পড়েছে বলে জানিয়েছে, জাতিসংঘ শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। এক সময় দেশটির ১০০ ভাগ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতো বলে জানায় সংস্থাটি।
এদিকে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, তাদের আশঙ্কা ছয় লাখ উদ্বাস্তু আগামী ছয় মাসে তুরস্ক থেকে গ্রিসের দিকে যাত্রা করবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এস. আর. এস