হাইকোর্টের নির্দেশ সবার জন্যই পালনীয়
হরতাল-অবরোধ বন্ধে হাইকোর্টের জারিকৃত রুল সরকার ও অন্যান্য পক্ষের পালন করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিয়ষক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
রোববার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, হাইকোর্টের ক্ষমতা আছে রুল জারি করার, তারা তা করেছে। এ নিয়ে কথা বলার সময় হয়নি। এটা চূড়ান্ত হবার পর আইন হবে।
এ সময় তিনি পাশ্ববর্তী অন্যান্য দেশের উদাহরণ টেনে বলেন, পশ্চিমা অনেক দেশেই এসব আন্দোলনে ক্ষয়ক্ষতির জন্য মামলা হয়েছে। সেসব দেশের মামলার রায়ও হয়েছে।
হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি নিষিদ্ধ হলে সাংবিধানিক অধিকার হরণ হবে কি না- এমন প্রশ্নে সুরঞ্জিত বলেন, “আমাদের সংবিধানে চলাফেরার অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমার এই অধিকার অন্য কারও চলাফেরায় বাধা দিয়ে নয়। কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে অন্যের ক্ষতি করতে পারবেন না।” হরতাল-অবরোধ যারাই ডাক দেবে যদি সেই কর্মসূচিতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়, তাহলে সেই ক্ষতিপূরণ তাদেরই দিতে হবে।
এদিকে দেশে প্রথমবারের মতো পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বিল-২০১৫ আইনে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশদারিত্বে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্বে উন্নয়ন কাঠামোতে আইনি কাঠামো না থাকায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করা সম্ভব হয় না। তাই আইনি কাঠামো করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশ এসেছে। ইতোমধ্যে পিপিপি বিল-২০১৫ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। বিলটি যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি সাব কমিটি গঠর করা হয়েছে। এটি পাস করা হলে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব উন্নয়ন কাঠামো আরো গতি পাবে এবং নতুন মাত্রা যোগ হবে।
এ সময় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও কমিটির সদস্য শামসুল হক টুকু উপস্থিত ছিলেন। আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিক্ষণ /এডি/জামান