হিন্দু সেবককে কুপিয়ে হত্যা
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
এবার পাবনায় অনুকূল চন্দ্র ঠাকুরের সেবাশ্রমের এক সেবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সোয়া ৬টার দিকে সেবাশ্রমের ২০০ গজ দূরে হেমায়েতপুরের পাবনা মানসিক হাসপাতালের প্রধান ফটকের কাছে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে এএসপি (সদর সার্কেল) সেলিম খান জানিয়েছেন। নাটোরে খ্রিস্টান দোকানি ও ঝিনাইদহে হিন্দু পুরোহিত হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই একই কায়দায় কুপিয়ে এ হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হলো।
নিহত নিত্যরঞ্জন পাণ্ডে (৬০) সৎসঙ্গ আশ্রম নামে পরিচিত ওই সেবাশ্রমে কাজ করে আসছিলেন গত ৪০ বছর ধরে। অন্য দিনের মত শুক্রবারও সকালে প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে আক্রান্ত হন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের ধরন দেখে পুলিশ বলছে, নিত্যরঞ্জন পাণ্ডেকে পেছন থেকে ঘাড়ে কোপ দেওয়া হয়। ঘাড়ে ও মাথায় এমনভাবে কোপানো হয়ে যে দেখে মনে হয় খুনিরা তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চেয়েছিল।
সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক যুগল কিশোর ঘোষ জানান, নিত্যরঞ্জনের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার আরুয়াপাড়ার কংশুর গ্রামে। তার বাবার নাম রশিকলাল পাণ্ডে। তিনি বলেন, “গত ৪০ বছর ধরে এই আশ্রমে আশ্রিত থেকে সে ধর্ম সেবা দিয়ে আাসছিলেন নিত্যরঞ্জন। ডায়াবেটিস ছিল বলে প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হতেন। আজও হাঁটতে বেরিয়ে খুন হয়ে গেলেন।”
এই হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য তারা দিতে পারেননি।
স্থানীয় এনজিও কর্মী নরেশ মধু বলেন, “উনি দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। এ এলাকারই মানুষ হয়ে গিয়েছিলেন। সৎসঙ্গ সেবাশ্রমে কাজ করতেন। সাদামাটা মানুষ, কোনো শত্রু ছিল বলে শুনিনি।”
বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক হামলার মত নিত্যরঞ্জন হত্যার পেছনেও জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে বলে তার সন্দেহ। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এএসপি সেলিম খান। তিনি বলেন, “আমরা সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখব। এটা জঙ্গিদের কাজ কি না এখনই সে রকম কিছু বলা যাবে না।”
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া