১১ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ
জেলা প্রতিনিধি
দেশব্যাপী বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা সহিংস হরতাল অবরোধে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পেট্রোল ঢেলে বিআরটিসি গাড়ি ও ফলবাহী পিকআপ ভ্যান পোড়ানো মামলার চার্জশিটভুক্ত ১১ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। গত মঙ্গলবার সকালে আদালতের নির্ধারিত দিনে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আনোয়ারুল হকের আদালতে ১১ আসামী আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জেলহাজতে প্রেরণ করা নেতাকর্মীরা হলেন, ফলবাহী পিকআপ পোড়ানো মামলায়- উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি শামসুল হক খোকন, সাধারণ সম্পাদক হেমায়েত তালুকদার, কলেজ ছাত্রদল সভাপতি রাজ্জাক ফকির, শ্রমিকদল সভাপতি কামরুল ইসলাম জুয়েল, সাবেক ইউপি সদস্য আশীষ বাড়ৈ, ছাত্রদলের মিজান মোল্লা ও বাচ্চু মোল্লা।
বিআরটিসি গাড়ি পোড়ানো মামলার আসামীরা হলেন- জামায়াত নেতা ও ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন আনু, যুবদল নেতা শিপন হাওলাদার, মিলন মোল্লা, মিজান মোল্লা, ছাত্রদল সম্পাদক হেমায়েত তালুকদার। তবে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম এজাহারে আসামী থাকলেও থানাকে ম্যানেজ করায় চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়। অন্যদিকে, ঐ পুলিশই ঘটনার সময় ঢাকায় অবস্থান করা কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও জেলা উত্তর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানকে বিআরটিসি গাড়ি পোড়ানো মামলায় হুকুমের আসামী করেন।
আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর ছিলেন এ্যাড. গিয়াস উদ্দিন কাবুল ও আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. জাহিদুল ইসলাম পান্না। এদেরমধ্যে হেমায়েত তালুকদার ও মিজান মোল্লা দু’টি মামলার আসামী। প্রসঙ্গত: আগৈলঝাড়া থেকে বেনাপোলগামী বিআরটিসি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-১৪২৪) উপজেলা সদরে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ গেটে পার্কিং করা অবস্থায় ১৩ জানুয়ারি গভীর রাতে পেট্রোল ঢেলে অবরোধকারীরা পুড়িয়ে দেয়।
অন্যদিকে, সরকার বিরোধী অবরোধ চলাকালে আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের বাইপাস সড়কে জাহান্দার বেকারী সংলগ্ন এলাকায় ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে একটি ফলবাহী মিনি ট্রাকে (খুলনা মেট্রো ন-১১-০৮৩৩) পেট্রোল দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধকারীরা। ঐ দু’টি ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক মামলা করে। ঐ ঘটনায় প্রধান দুই আসামীকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে এলাকায় এনে অন্য আসামী ও অস্ত্র খোঁজার সময় ক্রসফায়ারে তাদের মৃত্যু ঘটে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ওই মামলায় চার্জশিট প্রদানের পর কয়েকজন আসামী পলাতক থেকে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। ফলবাহী মিনি ট্রাক পোড়ানো মামলায় এখনও কয়েকজন আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে। আদালতে হাজির হলে তাদের ভাগ্যে কি ঘটবে তা বলা যাচ্ছে না।
প্রতিক্ষণ/এডি/এআরকে