অবরোধে নিহত ২৯, অগ্নিসংযোগ ৬৩৭ যানবাহনে

প্রকাশঃ জানুয়ারি ২১, ২০১৫ সময়ঃ ৯:২২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

fireবিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত হরতাল অবরোধের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ১৮ যাত্রী, ১১ পরিবহন চালক ও শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

একই সময় সারা দেশে ৫৭২টি যানবাহনে আংশিক অগ্নিসংযোগ ৬৫টি যানবাহন সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তকারীরা। এছাড়া ভাঙচুর করেছে ৩ হাজার ২৩১টি যানবাহন।

আজ বুধবার বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি নামে একটি সংগঠন এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এই তথ্য জানিয়েছে।

গণপরিবহনে রাজনৈতিক সহিংসতা নিরসন কর্মসূচির আওতায় দেশের দশটি জাতীয় ও পাঁচটি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত প্রতিবেদন মনিটরিং করে গণপরিবহনে রাজনৈতিক সহিংসতা বিষয়ক এই প্রতিবেদন দেখানো হয়।

প্রতিবেদন দেখানো হয়, অবরোধ থেকে রক্ষা পায়নি ৪ দফা রেলে নাশকতা চালানো হয়। এসকল ঘটনায় আহত হয়েছে ৫৫ হাজার ২১৭ জন যাত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন মহাসড়কে বিজিবি ও পুলিশ পাহারায় যাত্রী ও পণ্যবাহী বাস/ট্রাক চলাচলের চেষ্টা চললেও তবে তা খুবই সীমিত। কোটি টাকা দামের অভিজাত বাসগুলো রাস্তায় নামানো যাচ্ছে না সহিংসতার কারণে।

এতে বলা হয়, বিরোধী পক্ষের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঠেকাতে ক্ষমতাসীন দল কৌশল হিসেবে পরিবহন খাতকে ব্যবহার করছে।

সংবাদ সম্মেলনে ওই যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রাজধানীতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি দেখে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে, দেশ সচল আছে। আজ সারাদেশে প্রতিটি নাগরিকের জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এসব সহিংসতায় যে সকল মানুষ মারা যাচ্ছে তারা সরকার বা বিরোধী পক্ষের নেতাকর্মী নয়, নিহত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, যাদের অপর নাম যাত্রী। গণমানুষ বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে গণপরিবহন ব্যবস্থা।এসময় রাজনৈতিক কর্মসূচি ও আন্দোলনের ধরণ পাল্টানোর আহবান জানানো হয় রাজনৈতিক দলগুলোকে।

প্রতিক্ষণ/এডি/বেলা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G