১৮ মার্চ হজ্বের প্রাক নিবন্ধনের শেষ সময়

প্রকাশঃ জানুয়ারি ২, ২০১৯ সময়ঃ ৮:১২ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:১২ পূর্বাহ্ণ

চলতি বছর হজ্বের প্রাক নিবন্ধন করা যাবে আগামী ১৮ মার্চ পর্যন্ত। যেকোনো ব্যক্তি সরকারি বা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ্বে যাওয়ার জন্য এই সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ও সৌদি মোয়াল্লেম ফি-এর নির্ধারিত টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিকভাবে নাম নিবন্ধন করতে পারবেন।

গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ্ব বিষয়ক পোর্টালে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

তবে সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন প্রাক নিবন্ধন করলেও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি বছর হজ্বে যেতে পারবেন না। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখনো কিছু কোটা খালি রয়েছে। হজ্ব চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরে সর্বমোট হজ্বের কোটা হচ্ছে এক লাখ ২৭ হাজার ১৫৮ জন। এর মধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জন হজ্বে যেতে পারবেন। ইতোমধ্যে এজেন্সিগুলোর গাইডের কোটাও রাখা হবে। প্রাক নিবন্ধিতদের মধ্য থেকে এক লাখ ১৭ হাজারের মতো যেতে পারবেন।

গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধিত হজ্ব যাত্রীর সংখ্যা ছিল দুই লাখ ১৯ হাজার ৭০৫। ফলে প্রাক নিবন্ধিতদের ক্রমানুসারে সবাই যদি হজ্বে যান তাহলে পরবর্তী বছর ২০২০ সালের জন্যও এক লাখ দুই হাজার ৭০৫ জন অতিরিক্ত হয়ে যায়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাক নিবন্ধন করে রাখলেও শেষ পর্যন্ত সিরিয়ালের সংখ্যা থেকে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার কম হয়ে থাকে। এই হিসাবেও চলতি বছর প্রাক নিবন্ধন করলেও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

সরকারি ব্যবস্থাপনার এ বছরের মতো সাত হাজার ১৫৮ জন। আর গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রাক নিবন্ধিত হওয়ার সংখ্যা ছিল ছয় হাজার ৬৭৬ জন। ফলে এখনো চলতি বছরের জন্য ৪৮২ জনের কোটা খালি রয়েছে। তবে এই হিসাবের মধ্যে গাইড ও সরকারি খরচে পাঠানো হজ্বযাত্রীদের ধরা হলে সরকারি ব্যবস্থাপনার প্রাক নিবন্ধনের তালিকায়ও চলতি বছর যাওয়ার সুযোগ থাকছে না।

প্রাক নিবন্ধিত হজ্ব যাত্রীদের পরবর্তীতে হজ্বের খরচের সব টাকা ব্যাংকে জমা দেয়ার পর পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে মূল নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। মূল নিবন্ধনের পর হজ্বযাত্রীদের মোবাইল নম্বরে কনফারমেশন ম্যাসেজ যাওয়ার পরই হজ্বে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশে সরকারি ব্যবস্থাপনা ও বেসরকারি হজ্ব এজেন্সিগুলো হজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ্ব ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে।

বাংলাদেশের দাবি সত্ত্বেও এ বছর হজ্বের কোটা বাড়ায়নি সৌদি সরকার। গত ১৩ ডিসেম্বর সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত হজ্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আগামী ৯ আগস্ট চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র হজ্ব অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিক্ষণ/এডি/অন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G