৬৯ বছর পর কালাজ্বরের রোগী

প্রকাশঃ জুলাই ১, ২০১৬ সময়ঃ ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

Jessore_kal_aintroকালাজ্বরকে এখন প্রায় বিরল একটি রোগই বলা যায়। কিন্তু দীর্ঘ ৬৯ বছর পর যশোরে কালাজ্বরে আক্রান্ত এক রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ওই রোগীর নাম তাসলিমা খাতুন (৩৫)। তিনি যশোর সদর উপজেলার নূরপুর এলাকার নজরুল ইসলাম শেখের স্ত্রী।

তাসলিমা খাতুনকে বুধবার যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল জানান, কালাজ্বরে শনাক্ত রোগী তাসলিমার চিকিৎসা চলছে। সরকারের কালাজ্বর নির্মূল প্রকল্পের আওতায় তার চিকিৎসার সকল ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তা শীঘ্রই যশোরে আসছেন। একই সঙ্গে ময়মনসিংহের কালাজ্বর গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তাদেরও এই রোগীর বিষয়ে জানানো হয়েছে। তারও এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

সিভিল সার্জন আরো জানান, যশোরে ১৯৪৭ সালে কালাজ্বরের সর্বশেষ রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল। এরপর আর এমন রোগীর সন্ধান মেলেনি। এবার তাসমিলা খাতুনের শরীরে কালাজ্বর শনাক্ত করা হয়েছে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম কুমার আচার্য বলেন, কালাজ্বরের জীবাণুর বাহক বেলে মাছি। এই রোগকে ইনফেকশন ডিজিজ বলা হয়। বুধবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তাসলিমার শরীরের কালাজ্বরের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কালাজ্বরের প্রাদুর্ভাব ময়মনসিংহ অঞ্চলে দেখা যায়। যশোর অঞ্চলে ১৯৪৭ সালের পর দেখা যায়নি। প্রায় ঊনসত্তর বছর পর যশোরে আবার কালাজ্বরের রোগী শনাক্ত হলো।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাসলিমা খাতুন জানান, ৬/৭ মাস আগে তিনি জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। সর্বশেষ যশোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম কুমার আচার্যের কাছে চিকিৎসা নেন।

আক্রান্ত মহিলার স্বামী রিকশা চালক নজরুল ইসলাম শেখ বলেন, অনেক ডাক্তার দেখিয়েও তার জ্বর কমছিল না। ডাক্তার সাহেব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানায় কালাজ্বর হয়েছে। এত দিনে অনেক টাকা খরচ হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তির পর সরকারিভাবে চিকিৎসা চলছে।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G