জহির ভূইয়া
আসলে বাংলাদেশে মানুষের কার যে কি রকম মানসিকতা, সেটা বোঝাই দায়। যে দেশে ব্যাংক লুটের খবর প্রতিদিনই বড় বড় পত্রিকা গুলোতে ছাড়া হচ্ছে, সে দেশের মানুষ কষ্টে আছে। ৮০ টাকা দামে চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছে, অথচ সে দেশেই কালোবাজারে ৫০০ টাকার টিকিট ২৫০০ টাকায় কিনে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছে!
অবাক বাংলাদেশ, অবাক বাংলাদেশের মানুষ। তাহলে যে কেউ প্রশ্ন করতে পারে এদেশে অর্থনৈতিক সমস্যা তো নেই! আসলেই কি তাই? কিছু লোকের হাতে অঢেল টাকা আছে সত্য। কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠিত হাতে কিছু টাকা আছে?
কিন্তু কে বলবে এদেশের মানুষ এক বেলা খেলতে পারলে অপর বেলা খেতে পারছে না! মিরপুরে আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে স্টেডিয়ামের গেটে দাঁড়িয়ে যে চিত্রটা দেখা গেল তাতে নিজেকেই নিজে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। আসলেই কি এদেশের মানুষের গরীব থেকে আরো গরীব হয়েছে? মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো কি সত্যিই নিম্ন বিত্তে চলে গেছে?
এটা বলার কারণ, সকাল থেকেই মিরপুরে ওডিআই সিরিজে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ দেখতে অনেক পরিাবরের বাবা-মা-ছেলে-মেয়ে সােই চলে এসেছে।
একটি ৫০০ টাকার টিকিট কালোবাজারে সর্বোনিম্ন বিক্রি হয়েছে ২০০০ টাকা ম্যাচের খানিকটা আগে ২৫০০ থেকে ৩০০০ হাজার পর্যন্ত কালো বাজারে বিক্রি করতে দেখা গেল। তাহলে ৪ জনের একটি পরিবারের টিকিটের দাম যদি ২ হাজার করে ৮ হাজার হয় তাহলে আসা-যাওয়া আর দুপুরের ডাবল দামের খাবার বাবদ ২ হাজার টাকা হিসেব করলে এক ম্যাচে একটি পরিচারের ১২ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। তাহলে তো অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থার কথা বেমানানই।
কিন্তু এ বিষয়টি অনেকই ফোকাস করতে চেষ্টা করেছে একটু অন্য ভাবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন, কারণ সত্যিকার অর্থে সাধারণ মানুষ যা খেটে খায় তারা কিগ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে গিয়েছে? না-কি সে সামর্থ্য তাদের সেটা আছে?
বাইরে একটি বার্গার কিনতে ১ শত টাকায় হয় না, সেই বার্গার স্টেডিয়ামের ফুড কোডে বিক্রি হয় ১৬০ থেকে ১৮০ অবদি। সে বার্গার কিনে খাওয়া যোগ্যতা কি এখনকার সাধারণ মানুষের আছে? ব্যক্তিগত ভাবে আমি তো মনে কি নেই।
তবে এটা ঠিক অনেক অভাবের দিনেও কিছু মানুষের টাকা তো অবশ্যই আছে।